উইন্ডোজে অদৃশ্য ফোল্ডার তৈরি

উইন্ডোজে কিছু মজার কাজের মধ্যে একটি হল অদৃশ্য ফোল্ডার তৈরি করা। উইন্ডোজ এক্সপি কিংবা ভিসতা অথবা সেভেন বা যে কোন ভার্সন এর জন্য এটি করা সম্ভব । খুবই সহজে কয়েকটি ধাপেই আপনি তৈরি করতে পারবেন অদৃশ্য ফোল্ডার ।

অদৃশ্য ফোল্ডার তৈরি করতে যা যা করতে হবেঃ

১। প্রথমেই একটি নতুন ফোল্ডার তৈরি করুন New Folder বাটন এ ক্লিক করে ।
২। এবার আপনাকে ফোল্ডার টি Rename করে নিতে হবে । ফোল্ডারটি সিলেক্ট করে কিবোর্ড এর F2 বাটন চাপুন ।
৩। Alt বাটন চেপে টাইপ করুন 0160 (এটি টাইপ করার সময় আপনি কিছু দেখতে পাবেন না)। এবার Enter চাপুন , খেয়াল রাখবেন শুধুমাত্র Number Pad ব্যবহার করে নম্বরটি টাইপ করতে হবে ।
৪। ফোল্ডার এর আইকন পরিবর্তন এর জন্য ফোল্ডার টি সিলেক্ট করে রাইট বাটন ক্লিক করে নিচের ক্রমানুসারে কাজ করুন Properties>> Customize >> Change the icon >> Select the blank one >> ok ব্যস হয়ে গেলো ।



উইন্ডোজ এক্সপি ইনস্টল করুন মাত্র ৫ মিনিটে

আমাদের কম্পিউটারে সমস্য সমাধানে উইন্ডোজ ইনস্টল করতে গিয়ে বিরক্তিকর অনেক বেশি সময় অপেক্ষা করা লাগে। কিভাবে অল্প সময় এ উইন্ডোজ এক্সপি ইনস্টল করা যায় তা ধাপে ধাপে দেখানো হল।


উইন্ডোজ এক্সপি সেটাপ করার জন্য উইন্ডোজ এক্সপি এর ডিস্ক কম্পিউটারে প্রবেশ করান এবং রিস্টার্ট দিন।


      রিস্টার্ট হয়ে কম্পিউটার ওপেন হওয়ার সময় স্কিনে Press any key to boot from CD.... লেখাটি আসবে। আসা মাত্রই কিবোর্ড থেকে যেকোন একটি বাটনে চাপ দিন। নিচের চিত্রে লক্ষ্য করুন। যদি নিচের চিত্রের মত না এসে তাহলে এই লিঙ্ক থেকে বায়োস সেটাপ করুন। তার পর প্রথম পদক্ষেপ সমাপ্তির পরে কম্পিউটার পুনরায় চালু হবে এবং দ্বিতীয় ধাপ শুরু হয়ে দেখবেন “সেটআপ হতে প্রায় 39 মিনিট দেখাবে। ঠিক এই সময় আপনাকে একটু বাড়তি কাজ করতে হবে।


      • শিফট এবং F10 ফাংশনাল key চাপুন।
      • CMD অপেন হবে।
      • CMD উইন্ডোতে taskmgr লিখে Enter চাপুন।

      • টাস্ক ম্যানেজার খুলবে।
      • টাস্ক ম্যানেজার থেকে processes ট্যাবে ক্লিক করুন।
      • এখন setup.exe উপর ডান বাটন ক্লিক করুন এবং Set priority থেকে High Select করূন।

      • Taskmgr Close করে দিন।

      send error report (বিরক্তিকর) রিপোর্ট বন্ধ করার উপায়


      মাঝে মাঝেই আমাদের কম্পিউটারে নানা কারণে বিভিন্ন সময় send error report to Microsoft এই মেসেজ আসে, যা খুবই বিরক্তিকর। আমরা যারা নিয়মিত কম্পিউটার ব্যবহার করি, তারা সবাই কম-বেশি এ সমস্যার সাথে পরিচিত। অবশ্য এ সমস্যা থেকে বাচাঁর উপায়ও আছে। 

      • My Computer থেকে Properties-এ যেতে হবে। 
      • সেখান থেকে Advance-এ ক্লিক করে Error Reporting-এ ক্লিক করতে হবে। 
      • তারপর Disable error reporting নির্বাচন করুন।


      এখন কম্পিউটার থেকে error রিপোর্টিং দেখানো বন্ধ হয়ে যাবে এবং আমরা বেচেঁ যাবো Error Reporting এর এ বিরক্তিকর সমস্যা থেকে।

      পেনড্রাইভ থেকে সহজেই কম্পিউটার সেটআপ

      সাম্প্রতিক সময়ে কম্পিউটারের আকার ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর হচ্ছে। ল্যাপটপ বা নোটবুক থেকে আরো ক্ষুদ্র সংস্করণও বাজারে আসছে যেমন নেটবুক। এসব কম্পিউটার বহনে যেমন সুবিধা তেমনি ব্যবহার করতেও আরাম। তবে এসব ডিভাইসের সমস্যা হচ্ছে এগুলোতে সাধারণত অপটিক্যাল ড্রাইভ অর্থাৎ ডিভিডি রম থাকে না। যে কারণে অপারেটিং সিস্টেম (ওএস) সেটাপ দেয়ার সময় বেশ ঝামেলা পোহাতে হয়। তবে এই ঝামেলাটি থেকে আপনি সহজেই মুক্তি পেতে পারেন। পেনড্রাইভ দিয়েই খুব সহজে যে কোনো ডিভাইসে উইন্ডোজ এক্সপি থেকে শুরু করে ৭ এবং ৮ সহ যে কোন  অপারেটিং সিস্টেমগুলো সেট আপ দিতে পারবেন। এ জন্য প্রথমে পেনড্রাইফকে বুটেবল করতে হবে।


      বুটেবল করার জন্য যা যা প্রয়োজনঃ

      • একটি পেনড্রাইভ (উইন্ডোজ এক্সপির জন্য চার গিগাবাইট এবং উইন্ডোজ ৭ ও ৮ এর জন্য কমপক্ষে আট গিগাবাইটের পেনড্রাইভ)।
      • একটি  অপারেটিং সিস্টেম ডিস্ক  ও  তার  (উইন্ডোজ এক্সপি, ৭, ৮) এর ISO ফাইল।
      •  Power iso সফটওয়্যার।

      ISO ফাইল তৈরীর পদ্ধতিঃ

      • ডাউনলোড করা Power iso সফটওয়্যারটিতে  রাইট ক্লিক করে run as administrator সিলেক্ট করুন। সফটওয়্যারটি চালু হলে নিচের দিকে থাকা continue unregistered সিলেক্ট করুন। 

      • এখন আপনার CD/DVD ড্রাইভ এ আপনার কাঙ্খিত অপারেটিং সিস্টেমের ডিস্ক টি প্রবেশ করান। তারপর Power Iso থেকে Copy তে ক্লিক করে Make CD/DVD/..... Image file সিলেক্ট করুন। সর্বশেষ Source Drive থেকে ডিভিডি ড্রাইভ ও destination file এ .iso সিলেক্ট করে ok করুন।

      • সাধারনত Iso file টি my document এ সেভ হয়। প্রয়োজনে আপনি তা পরিবর্তন করুন।

      পেনড্রাইভ বুটেবল পদ্ধতি

      •  Power Iso এর মেনুবার থেকে tool এ ক্লিক করে  create bootable USB Drive সিলেক্ট করুন।
      • Source Image file থেকে  অপারেটিং সিস্টেম এর ISO ফাইল টি সিলেক্ট করুন। তারপর Start করুন।

      অপারেটিং সিস্টেম সেটাপ

      • পেনড্রাইভ বুটেবল করা শেষ হলে সেটাপ দেয়ার জন্য প্রথমে কম্পিউটার রিস্টার্ট দিতে হবে। 
      • এরপর বুট অপশন এ গিয়ে প্রাইমারি বুট হিসেবে ইউএসবি ডিভাইস সিলেক্ট করতে হবে।
      • তারপর উইন্ডোজ এক্সপি   ও  উইন্ডোজ সেভেন  বা অন্যান্য অপারেটিং সিস্টেম ইচ্ছা মত সেটাপ দিন।


      রান কমান্ড দিয়ে ড্রাইভ এবং ফোল্ডার একসেস পদ্ধতি

      মনে করুণ আপনি E ড্রাইভে রান কমান্ড দিয়ে একসেস বা ওপেন করবেন তাহলে আপনাকে যা করতে হবে তা হলো
      • প্রথমে রান ওপেন করুন। শর্টকাট ব্যবহার করতে চাইলে (Windows key+ R ) প্রেস করুন।
      • এখন রান ওপেন হলে  E:/ লিখুন এবং Enter প্রেস করুন। দেখবেন আপনার E ড্রাইভ ওপেন হয়ে গেছে।


      ধরুণ E ড্রাইভ এ song নামক একটি ফোল্ডার আছে। আপনি যদি  সরাসারি ফোল্ডারটি ওপেন করতে চান। তাহলে  রান এ শুধু E:/song/ দিয়ে Enter দিলেই song নামক ফোল্ডার ওপেন হবে । একই ভাবে যে কোন ড্রাইভ বা ফোল্ডার একসেস বা ওপেন করতে পারবেন ।


      জেনে নিন উইন্ডোজ এক্সপি সেটাপ পদ্ধতি

      উইন্ডোজ এক্সপি মাইক্রোসফট কর্পোরেশনের একটি জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম। আমরা অনেকেই কম্পিউটারে এই অপারেটিং সিস্টেম চালাই। কিন্তু অনেকেই এই উইন্ডোজ এক্সপি অপারেটিং সিস্টেম ক্রাশ করলে কিভাবে তা সেটাপ করতে হয় তা জানি না। যারা উইন্ডোজ এক্সপি সেটাপ করা জানেন না তাদের জন্য আমাদের এই আয়োজন।

       
       উইন্ডোজ এক্সপি সেটাপ করার জন্য উইন্ডোজ এক্সপি এর ডিস্ক কম্পিউটারে প্রবেশ করান এবং রিস্টার্ট দিন।


      রিস্টার্ট হয়ে কম্পিউটার ওপেন হওয়ার সময় স্কিনে Press any key to boot from CD.... লেখাটি আসবে। আসা মাত্রই কিবোর্ড থেকে যেকোন একটি বাটনে চাপ দিন। নিচের চিত্রে লক্ষ্য করুন। যদি নিচের চিত্রের মত না এসে তাহলে এই লিঙ্ক থেকে বায়োস সেটাপ করুন।

      কাজটি সঠিকভাবে হলে নিচের চিত্রের মত স্কিন দেখতে পাবেন। অর্থাৎ উইন্ডোজ এক্সপি সেটাপ শুরু হয়েছে।


      কিছুক্ষণের মধ্যে প্রয়োজনীয় ফাইল লোড নিয়ে নিচের টাস্ক বারে ENTER= Continue, R= Repair, F3= Quit এই তিনটি কমান্ড দেখাবে। তার অর্থ হলো আপনি যদি সেটাপ রানিং রাখতে চান তাহলে ENTER বাটন চাপুন, উইন্ডোজ রিপিয়ার করতে চান তাহলে R বাটন চাপুন, আর যদি সেটাপ না দিয়ে বাহির হতে চান তাহলে ফাংশনাল কিবোর্ডের F3 বাটন চাপুন। যেহেতু আমরা উইন্ডোজ সেটাপ দিবো তাই Enter বাটন চেপে সেটাপ রানিং রাখবো।


      তারপর F8 (ফাংশনাল কি) চেপে উইন্ডোজের শর্তাবলীতে আপনার সম্মতি (agree)  জানাবেন। মনে রাখবেন উইন্ডোজের শর্তাবলী সম্মতি ছাড়া সেটাপ দিতে দেবে না।


      এবার নিচের চিত্রের আপনি Unpartitioned Space নামে একটি হার্ডডিস্ক দেখতে পাচ্ছেন। মূলত এই হার্ডডিস্কটি পার্টিশন করা নাই। আমরা এখন দেখবো কিভাবে হার্ডডিস্ক পার্টিশন করা হয়। যাদের হার্ডডিস্ক পার্টিশন করা আছে তাদের পার্টিশন করার দরকার নাই। এখানে হার্ডডিস্কে প্রয়োজনমত যে কোন সাইজে পাটিশন করা যাবে। পার্টিশন করার জন্য  C বাটন প্রেস করুন। কেন C বাটন প্রেস করবেন? তা কিন্তু নিচের টাস্কবারে আগের মত প্রকাশ করছে।


      এখন পাটিশন সাইজ দিয়ে এন্টার বাটন প্রেস করতে হবে। কোন একটি ড্রাইভকে ৩০ গিগাবাইটে ভাগ করতে চাইলে ৩০০০০ টাইপ করুন। আমরা এখানে ২৪ জিবি তে ভাগ করেছি।


      এখন নিচে দেখুন C: Partition নামে নতুন একটি পার্টিশন তৈরী হবে। আবার Unpartitioned Space কে সিলেক্ট করুন এবং পূর্বের পদ্ধতি অনুসরণ করে আরো পার্টিশন তৈরী করতে করুন। কিন্তু আমরা সেদিকে যাচ্ছি না এখন আমি C: Partition কে সিলেক্ট রেখে Enter বাটন প্রেস করবো। কারণ C: Partition এ সেটাপ দিবো। সাধারণত C: Partition এ উইন্ডোজ সেটাপ দেওয়া হয়।


      ড্রাইভ সিলেক্ট করে ইন্টার করলে নীচের চিত্রটি দেখা যাবে। Format the partition using the Fat file system সিলেক্ট করে ইন্টার প্রেস করুন। (তারাতারি করার জন্য (Quick) সিলেক্ট করতে পারেন)

      নোটঃ এখানে Quick Format এর দুটি এবং Normal Format এর দুটি অপশন দেখা যাবে।  NTFS ও  FAT  হচ্ছে ফাইল সিসটেম । উইন্ডোজ এক্সপির জন্য Normal Format ও FAT ফাইল সিস্টেম সিলেক্ট রেখে ফরমেট করাই উত্তম। 

      তবে মনে রাখবেন "Format the partition" ব্যতিত অন্য কোন অপসন যদি আসে। সেটি সিলেক্ট রেখে কখনোই ইন্টার প্রেস করবেন না।


      এখন আপনাকে C: Partition ফরমেট করার জন্য F বাটন প্রেস করতে বলবে। আপনি F বাটন প্রেস করুন। তাহলে নিচের চিত্রের মত ফরমেট শুরু হবে।


      ফরমেট হওয়ার পর উইন্ডোজ ডিস্ক থেকে কপি শুরু হবে।
       
       

      কপি সম্পূর্ন হলে অটোম্যাটিক ভাবে কম্পিউটার সিস্টার্ট হবে।


      রিস্টার্ট হয়ে আবার আগের মত  Press any key to boot from CD.... দেখাবে কিন্তু আপনি কোন বাটন প্রেস করবেন না। যদি করেন তাহলে উইন্ডোজ সেটাপ আবার প্রথম থেকে শুরু হবে।


      এবার কম্পিউপার ওপেন হয়ে নিচের মত একটি চিত্র দেখাবে।


      নিচের চিত্রটি আসলে Next বাটন ক্লিক করুন।


      তারপর Name এর ঘরে কম্পিউটারের নাম দিন। Organization এর ঘর ফাঁকা রাখলেও চলবে।


      এবার আপনার উইন্ডোজ ডিস্কের কভার থেকে Product Key টাইপ করুন। অথবা  Product Key ঘরে নিচের কোডটি টাইপ করুন। তারপর Next করুন।

       উইন্ডোজ Product Key- T8F9M-X92C2-9499M-BPQQK-2GQ36



       এখন আপনি চাইলে উইন্ডোজ পাসওয়ার্ড দিয়ে দিতে পারে। তারপর Next করুন।


      এখন কম্পিউটারের Date & Time সেট করুন। বিশেষ করে Time Zone সিলেক্ট করতে ভুলবেন না। তারপর Next করুন।


      নিচের মত একটি চিত্র আসলে শুধু Next করলেই চলবে।


      তারপর আবার Next করুন।


      এরপর Finishing Installation শুরু হবে।


       Finishing Installation শেষ হলে আবার কম্পিউটার রিস্টার্ট হবে। তারপর নিচের চিত্রের মত একটি একটি করে উইন্ডো আসলে আপনি শুধু OK করুন।


      তারপর আপনার কম্পিউটার ইউজার নাম দিন। এবং পরবর্তী পেজে যাওয়ার জন্য নিচের দিকে থাকা তীর চিহ্নে ক্লিক করুন।


      সর্বশেষ আপনার উইন্ডোজ ওপেন হবে। 





      Windows XP তে ডেস্কটপ আইকন সাইজ পরিবর্তন করুন

       Windows XP তে ডেস্কটপ আইকন সাইজ পরিবর্তন করার পদ্ধতিঃ

      • ডেস্কটপের Right click করে Properties ক্লিক করুন।
      •  উপরের দিকে মেনুবার থেকে Appearance ট্যাব সিলেক্ট করে নিচের ডান দিকে থাকা Advanced বাটনে ক্লিক করুন।

      • Item ড্রপ ডাউনে গিয়ে  Icon সিলেক্ট করুন।
      • তারপর Size থেকে আপনার কাঙ্খিত সাইজ দিয়ে apply এবং OK করুন।




      সফটওয়্যার ছাড়াই ডেস্কটপ স্কিনশর্ট

      কম্পিউটার ব্যবহার করতে গিয়ে কখনো কখনো  ডেস্কটপ এর স্কিনশর্ট নেয়ার প্রয়োজন কে না অনুভব করে। চলুন দেখে নেয়া যাক  কিভাবে সফটওয়ার ছাড়া ডেস্কটপের স্কিনশর্ট নেয়া যায়।
      • যে স্থানের স্কিন শট নিতে চান সেটি যেন ডেস্কপটে দৃশ্যমান থাকে ।
      • এখন আপনার কি-বোর্ড এর (সাধারণত উপরের দিকে) “ Print Screen Sys Rq অথবা prt scr sysrq অথবা prt sc” নামের কিবোর্ড বাটনে ক্লিক করুন ।
      • কম্পিউটার থেকে Paint প্রোগ্রামটি চালু করুন। (Start> Program> Accessories>Paint)
      • ফাকা পেজে “ Ctrl + V ”  শর্টকাট ব্যবহার করুন।
      • এখন শুধুমাত্র আপনার কাঙ্খিত ছবিটি সেভ করুন । 
      নোটঃ এখানে শুধুমাত্র  Paint প্রোগ্রামটির কথা বলা হয়েছে। আপনারা ইচ্ছা করলে Paint এর স্থালে Photoshop, MS Word ইত্যাদি প্রোগ্রাম ব্যবহার করতে পারেন।

      উইন্ডোজ ৭ ও ৮ এর ক্ষেত্রে উল্লেখিত উপায় ছাড়াও আরো একটি পদ্ধতি...

      Snipping Tools নামের একটি প্রোগ্রাম ডিফল্টলি দেওয়াই আছে (Start> Program> Accessories> Snipping Tools)।  নিচের চিত্রে দেখুন-





      চিত্রের দেখানো চারটি মুডের যেকোন একটি মুড ব্যবহার করে শুধু ড্রাগ করে প্রয়োজনীয় অংশটুকু পিকচার হিসাবে নিতে পারি।
      • Free-form Snip হচ্ছে মাউস দিয়ে যে জায়গাটুকু সিলেক্ট করবেন শুধু সেই অংশটুকু স্কিনশর্ট নেয়ার জন্য।
      • Rectangular Snip  দিয়ে নির্দিষ্ট হারে চতুরদিক সিলেক্ট করে স্কিনশর্ট নেয়ার জন্য।
      • Window Snip দিয়ে এক একটা আলাদা উইন্ডোজ সিলেক্ট করে স্কিনশর্ট নেয়ার জন্য।
      • Full-screen Snip  দিয়ে পুরো স্কিনের স্কিনশর্ট নেয়া যাবে।
      ধন্যবাদ...





      লুকিয়ে ফেলুন আপনার হার্ডডিস্ক ড্রাইভ!

      নানা প্রয়োজনে কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক ড্রাইভ লুকানোর প্রয়োজন হতে পারে। উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহারকারীগণ নিচের নিয়ম অনুসরণ করে সহজেই হার্ডডিস্ক এর পার্টিশন বা ড্রাইভ লুকিয়ে রাখতে পারবেন। বিশেষ করে যাদের কম্পিউটার বন্ধু বান্ধবের সাথে শেয়ার করেন তাদের জন্য পোষ্টটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।
      • প্রথমে  Run এ গিয়ে  gpedit.msc  লিখে Enter বাটন প্রেস করুন। 



      • তাহলে Group Policy Editor নামে একটি উইন্ডো আসবে।

      • User Configuration এ ডাবল ক্লিক করুন।
      • তারপর Administrative Templates এ ডাবল ক্লিক করুন।
      • তারপর Windows Components এ ডাবল ক্লিক করুন।
      • File Explorer (উইন্ডোজ ৮ এর ক্ষেত্রে), Windows Explorer (উইন্ডোজ এক্সপি ও সেভেন এর ক্ষেত্রে) এ ডাবল ক্লিক করুন।
      •  Hide these specified drives in my Computer এ ডাবল ক্লিক করুন।
      • Not Configured কে Enabled করে নিচে দেখানো চিত্রের মত আপনার ইচ্ছা মত যে কোন একটি ক্যাটাগরিতে হার্ডডিস্ক ড্রাইভ লুকিয়ে ফেনুন। সর্বশেষ Apply ও Ok করুন।

      এখন একই নিয়মে আপনি আবার Disabled করে হার্ড ড্রাইভ বা পার্টিশনকে আবার আগের মত স্বাভাবিক করতে পারেন।






      কম্পিউটার এর সকল ড্রাইভ একসাথে রিফ্রেস করুন!


      আমরা কম্পিউটারের গতি স্বাভাবিক রাখার জন্য সব সময় ডেস্কটপ এর রাইট বাটন চেপে Refresh এ ক্লিক করি। এর ফলে কম্পিউটারের শুধুমাত্র C drive এর কার্যক্ষমতা স্বাভাবিক হয়। কিন্তু আমরা নিচের নিময় অনুসরণ করে এক ক্লিকেই সকল ড্রাইভ একই সাথে রিফ্রেস করতে পারি।

      প্রথমে  Notepad প্রোগ্রাম টি অপেন করুন এবং নিচের কোডগুলো টাইপ করুন।
      Echo offcd/treeC:treeD:treeE:treeF:tree

      এখন  Refresh.bat নাম দিয়ে নোটপেডটি ডেস্কটপ এ সেভ করুন। এরপর আপনার ডেস্কটপ এ আসা নতুন আইকেনটিতে ডাবল ক্লিক করলেই একইসাথে কম্পিউটারের সকল ড্রাইভ রিফ্রেস হবে।

      নোটঃ নোটপ্যাডে লেখা কোডগুলো ভালো করে লক্ষ্য করলে দেখবেন যে, C, D, E, F, G মোট পাচঁটি ড্রাইভ কে উদাহরণ স্বরুপ দেখানো হয়েছে। যাদের কম্পিউটারে ড্রাইভের সংখ্যা কম কিংবা বেশী তার প্রয়োজনে ড্রাইভ লেটার কমিয়ে অথবা বাড়িয়ে নিন।






      Start up প্রোগ্রাম কমিয়ে ফেলুন কোন সফটওয়ার ছাড়াই

      Start up প্রোগ্রাম হচ্ছে, উইন্ডোজ রানিং হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যে প্রোগ্রাম গুলো রান করে। Start up প্রোগ্রাম বেশী হলে উইন্ডোজ ওপেন হতে অনেক সময় লাগে। আমরা চাইলে এই Start up প্রোগ্রামগুলো প্রয়োজন অনুযায়ী কমিয়ে উইন্ডোজকে খুব দ্রুত ওপেন করতে পারি। অনেকেই বিভিন্ন থার্ড পার্টি সফটওয়ার দ্বারা Start up প্রোগ্রাম নিয়ন্ত্রন করি। থার্ড পার্টি সফটওয়ার ছাড়া Start up প্রোগ্রামগুলো নিয়ন্ত্রন করা বা প্রয়োজন অনুযায়ী কমিয়ে ফেলা যায়।
       
      Windows XP, Windows 7, Windows 8 ব্যবহারকারীগণ "Start" বাটন থেকে "Run" প্রোগ্রামটি ওপেন করে msconfig লিখে ইন্টার বাটন চাপুন।












      System Configuration নামে একটি নতুন উইন্ডো আসবে। সেখানে আমরা General থেকে Normal Startup, Diagnostic Startup ও Selective Startup নির্বাচন করে দিতে পারি।
      •  Normal Startup  সাধারণত সকল ডিভাইস এর ড্রাইভার এবং সার্ভিস রানিং রাখে।
      • Diagnostic Startup  সাধারণত বিশেষ প্রয়োজনীয় ডিভাইস এর ড্রাইভার এবং সার্ভিস রানিং রাখে।
        (প্রয়োজন অনুযায়ী এ দুটির একটি অপসনকে বেছে নিয়ে কাজ শেষ করা যেতে পারে।)


      • আর Selective Startup  এ সিলেক্ট করে আমাদের ইচ্ছামত Start up প্রোগ্রাম কমিয়ে নিতে পারি। Load System Services ও Load Startup items এ দুটোতে প্রয়োজন অনুযায়ী টিক দিন অথবা দুটিই রাখতে পারেন। তারপর Services এ ক্লিক করুন আর ইচ্ছামত টিক তুলে দিন।


       সবশেষে Apply ও Ok বাটন চাপতে ভুলবেন না যেন...





       

      Copyright @ 2013 ফর কম্পিউটার .