কিভাবে ওয়ানড্রাইভ (OneDrive) ফোল্ডারের অবস্থান (Location) পরিবর্তন করবেন?

ডিফল্ট ভাবে ওয়ানড্রাইভ (OneDrive) ডকুমেন্টস ফোল্ডার হিসাবে C:\ ড্রাইভ নির্বাচিত থাকে। তবে চাইলেই তা পূর্নবিন্যাশ করা যায়। কিভাবে ওয়ানড্রাইভ (OneDrive) ফোল্ডারের অবস্থান (Location) পরিবর্তন করবেন তা এখানে দেখানো হল।




ব্যাচ ফাইল (.bat) ফাইলকে কিভাবে স্টার্ট মেনু ও টাস্কবারে পিন করবেন

ডিফল্টভাবে, উইন্ডোজ ১০ এর স্টার্ট মেনু ও টাস্কবারে কিছু নির্দিষ্ট ফাইল টাইপই যোগ করা যায়। যেমন .exe ইত্যাদি। কিন্তু  (.bat)  বা ব্যাচ ফাইলফাইলকে  স্টার্ট মেনু ও টাস্কবারে পিন করা যায় না। তাই নিচের ভিডিওটিতে দেখে নিন ব্যাচ ফাইল (.bat) ফাইলকে কিভাবে স্টার্ট মেনু ও টাস্কবারে পিন করবেন

উনন্ডোজ ১০ এ কিভাবে ডেস্কটপে কম্পিউটার আইকন/মাই কম্পিউটার আইকন আনবেন

কম্পিউটারে উনন্ডোজ সেট-আপ দেয়ার পরে এই সমস্যায় আমরা পরে থাকি যে, ডেস্কটপে কম্পিউটার আইকন খুজে পাই না আবার কোন কারনে ডেস্কটপ থেকে আইকন ডিলিট হয়ে যেতে পারে। আজ আমরা দেখব কি ভাবে ডেস্কটপে কম্পিউটার আইকন খুজে সেট করা যায়।

৩২ বিট আর ৬৪ বিট এ পার্থক্য কি?


কম্পিউটার ব্যবহারকারীগন যদি কম্পিউটারে কত বিটের অপারেটিং সিস্টেম ইনস্টল করবেন তা নিয়ে দ্বিধার পড়েন তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য।
  • ৩২ বিট এর চেয়ে ৬৪ বিটে উইন্ডোজের নিরাপত্তা ব্যবস্থা বেশি, বিশেষ করে Kernel Patch Protection অনেক বেশি শক্তিশালী হয় ৬৪ বিটে। Kernel হল প্রসেসর, হার্ডওযার, ডিভাইস ড্রাইভার এর সাথে অন্যান্য সফটওয়ারের সমন্বয় রক্ষা করে চলার একটি পদ্ধতি যার উপর ভিত্তি করে অপারেটিংস সিস্টেম তৈরি হয়। 
  • ৬৪বিট উইন্ডোজে কিছু কিছু ৩২বিটের সফটওয়ার, আর ড্রাইভার রান করা গেলেও অনেক সময় সমস্যা দেখা দেয়, সঠিকভাবে কাজ করে না। তবে ৩২বিট উইন্ডোজে ৬৪বিট সফটওয়ার বা ড্রাইভার কোনটাই কাজ করে না। 
  • ৬৪ বিটের প্রোগ্রামগুলো ৩২বিটের চেয়ে পারফরমেন্স ভাল দেখায়। যেমন ক্রাশ করা বা এরকম অন্যান্য সমস্যাগুলো থেকে ৬৪বিট প্রোগ্রামগুলো মুক্ত বললেই চলে।
  • ৬৪বিট প্রসেসর সাধারণত x64 এবং ৩২বিট প্রসেসর সাধারণত x86 গতিতে চলে।
  • ৬। ৩২ বিটের জন্য সাধারণত 512MB থেকে 4 GB পর্যন্ত RAM Recommend করা হয় যেখানে ৬৪বিটের জন্য 4 GB recommend করা হয়। তবে এর চেয়ে কম হলেও চলে। 
  • সবচেয়ে বড় ব্যাপার হল ৩২ বিটে 4 GB এর উপর RAM ব্যবহার হয় না। এমনকি অনেক সময় সর্বোচ্চ 3GB পর্যন্ত ব্যবহৃত হয়ে বাকিগুলো RAM অব্যবহৃত থেকে যায় কারণ হার্ডওয়ার সাপোর্ট করে না। অন্যদিকে ৬৪বিটে 1GB থেকে 128GB এর চেয়ে বেশি RAM সাপোর্ট করে। 
  • যে কাজের জন্য বেশি RAM প্রয়োজন হয় সেখানে ৬৪বিটের বিকল্প নেই। যেমন  3D, High powerful Graphics আর Multimedia’র সফটওয়্যার গুলোর জন্য ৬৪বিট একমাত্র সমাধান।
  • আশাকরি কারো মনে আর এই প্রশ্ন থাকবে না যে -৩২বিট আর ৬৪বিটে পার্থক্য কি বা ৩২বিট নাকি ৬৪বিট কোনটা ভাল।
  • নিশ্চয়ই ৬৪ বিট ভালো তবে পুরোনো হার্ডওয়্যারের জন্য ৬৪ বিটের ড্রাইভার সাপোর্ট নেই। ফলে আপনার পিসি এবং এর সাথে ব্যবহার করা বিভিন্ন কম্পোনেন্ট যদি পুরোনো হয় তাহলে আপনি ৬৪ বিট ওএসের জন্য সেগুলোর ড্রাইভার নাও পেতে পারেন।

কম্পিউটারের র‍্যামের পরিমান জানার পদ্ধতি

কম্পিউটারের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ হলো র‍্যাম। মুলত এটিই  আপনার প্রিয় কম্পিউটারটিকে চালনা করে। আপনার কম্পিউটারের গতি কতটুকু হবে সেটাও নির্ভর করে এরই ওপর। তবে অনেকেরই জানা নেই র‍্যামের পরিমান কত। র‍্যাম কতটুকু আছে সেটি চেক করার বিষয়টিও জানা নেই অনেকের। কিভাবে সহজে কম্পিউটারের র‍্যাম চেক করা যায় সেটির দুই উপায় তুলে ধরা হলো ।

পদ্ধতি এক:

  • প্রথমে কম্পিউটারের স্টার্ট আইকন থেকে সার্চ বারে গিয়ে ‘ram’ লিখে সার্চ দিতে হবে। 
  • তারপর সার্চ থেকে “Show how much RAM is on this computer”-এ ক্লিক করতে হবে। 
  • View basic information about your computer উইন্ডো আসেবে সেখান থেকে System থেকে কম্পিউটারের কতটুকু র‍্যাম আছে তা দেখাবে।

পদ্ধতি দুই:

  •  কম্পিউটারের উপর রাইট ক্লিক করুন।
  • Properties  এ ক্লিক করুন।
  • View basic information about your computer উইন্ডো আসেবে সেখান থেকে System থেকে কম্পিউটারের কতটুকু র‍্যাম আছে তা দেখাবে।

পাসওয়ার্ড শক্তিশালী করার উপায়



আপনি কি আপনার পাসওয়ার্ড নিয়ে চিন্তিত? কিংবা পাসওয়ার্ড নিয়ে ঠিক সন্তুষ্ট না যে এটা কতটা নিরাপদ? বর্তমানে কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড নিবার্চন। দেখা গেল হ্যাকাররা আপনার রেজিস্ট্রেশন করা একটি সাইট থেকে পাসওয়ার্ড হ্যাক করে নিয়ে গেল। আপনার পাসওয়ার্ডটি যদি শক্তিশালী হয় তাহলে তাকে আসল পাসওয়ার্ড বের করতে বেশ বেগ পেতে হবে।


একটি কথা মনে রাখবেন, এই পৃথিবীর সকল পাসওয়ার্ডই ভাঙ্গা সম্ভব - কিন্তু সেটা ভাঙ্গতে কতটা সময় লাগবে, সেটাই হলো সিকিউরিটি। আরেক ভাবে বললে, চিন্তা করুন আপনার ঘরের তালাটির কথা। যত শক্ত তালাই আপনি লাগান না কেন, সেটা কিন্তু ভাঙ্গা যাবেই। তবে ভারী তালা লাগালে সেটা ভাঙ্গতে একটু বেশি সময় লাগবে, ততক্ষণে আশেপাশের লোকজন চলে আসবে। চোর ধরা পড়ে যাবে।

ধরি আপনার পাসওয়ার্ড ১ ডিজিটের এবং আপনি শুধু সংখ্যা ব্যবহার করেন। তাহলে আপনার পাসওয়ার্ড সর্বোচ্চ ১০ চেষ্টাতেই ব্রেক করা সম্ভব [০,১,২ এভাবে ৯ পর্যন্ত]। আর যদি ইংরেজি বর্ণ ব্যবহার করেন তাহলে ২৬X২=৫২। দ্বিগুন হবার কারন হচ্ছে ক্যাপিটাল ও স্মল লেটার। আর আলফানিউমেরিক [সংখ্যা + বর্ণ] ব্যবহার করলে ৫২+১০=৬২। তাহলে আপনি যত বড় পাসওয়ার্ডই দেন না কেন কয়েকবছর লাগলেও ব্রেক করা সম্ভব!

কিন্তু হ্যাকার তো জানেনা আপনার পাসওয়ার্ড কতটা লম্বা! তাহলে? লেন্থ ১ ধরে শুরু করার পর লেন্থ এক এক করে বাড়ালে একসময় না একসময় পাওয়া যাবেই! হাত দিয়ে তো আর পাসওয়ার্ড দিচ্ছেন না, কাজটা হয় সফটওয়্যার দিয়ে তাই যেমন তাড়াতাড়ি হয় তেমনি যত সময় লাগছে সেটা ফ্যাক্টর না! আর দিন দিন কম্পিউটার অনেক দ্রুতগতির হচ্ছে, তাই হ্যাক অনেক সহজ হয়ে যাচ্ছে। এই পদ্ধতির নাম ব্রুটফোর্স এটাক। বোঝায় যাচ্ছে এটা অনেক সময় সাপেক্ষ। যখন কোন উপায় কাজ করে না তখনই শুধুমাত্র এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।

আরেকটা খুব কমন এটাক হচ্ছে ডিকশানারি এটাক। ডিকশানীতে যেসব শব্দ আছে সেগুলা একে একে ধরে চেক করা হয়। যেমন আপনার পাসওয়ার্ড যদি হয় educated তাহলে আপনি ডিকশানারী এটাকে খুব সহজে ধরা খাবেন।


কয়েকটি বিষয় লক্ষ্য রেখে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড নির্বাচন করা যায়ঃ

১। ইংরেজি ডিকশানারীর কোন শব্দ ব্যবহার করা যাবেনা
২। পাসওয়ার্ড লেন্থ যত বড় হয় তত ভাল
৩। লেটার ডিজিটের বাইরে স্পেশাল ক্যারেক্টার ব্যবহার করতে হবে, যেমন !@#$% ইত্যাদি।

এখন দেখা যাক কিভাবে শক্তিশালী কিন্তু সহজে মনে রাখা যায় এমন পাসওয়ার্ড তৈরী করা যায়। বুঝতেই পারছেন শক্তিশালী এবং সহজ দুটি জিনিস ব্যাস্তানুপাতিক!

প্রথমে আমরা একটি বাংলা শব্দ নেই এবং সেটাকে বাংরেজিতে লেখি। যেমন, vatkhabo. এবার a কে @, t কে 1 আর o কে 0 [zero] দিয়ে রিপ্লেস করি। তাহলে দাড়ালো কি? v@1kh@b0. হয়ে গেল শক্তিশালী পাসওয়ার্ড, অনেক সহজেই

এবার চাইলে এখান থেকে (পাসওয়ার্ড মিটার.কম) শক্তি পরীক্ষা করে দেখতে পারেন।
vatkhabo = 9%
v@1kh@b0 = 71%

আর কিছুদিন পর পর (অন্তত তিন থেকে ছয় মাস) পাসওয়ার্ডটি পাল্টিয়ে ফেলবেন। আর পাল্টানোর সময় পুরনো পাসওয়ার্ড আবার ব্যবহার করবেন না যেন। একই পাসওয়ার্ড দীর্ঘদিন রেখে দিলে সেটা হ্যাক হবার সম্ভাবনা খুবই বেশি।

আশা করছি, আপনি এই পদ্ধতি মেনে চলে নিজের পাসওয়ার্ডটিকে শক্তিশালী করে তুলবেন; এবং হ্যাকিং-এর হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করতে সক্ষম হবেন।


অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ইন্টারনেট মোডেম হিসেবে ব্যবহার পদ্ধতি


 কিভাবে খুব সহজেই আপনার স্মার্টফোন কে মোডেমে রূপান্তর করবেন, তার স্টেপ বাই স্টেপ পদক্ষেপ।

  • প্রথমে আপনার স্মার্টফোনের ডাটা কানেকশন অন করুন।
  • এবার আপনার স্মার্টফোন টি ডাটা ক্যাবলের মাধ্যমে পিসির সাথে কানেক্ট করুন।
  • ইউএসবি ক্যাবল স্টোরেজ অপশনে ক্লিক করা থেকে বিরত থকুন।
  • এবার সরাসরি সেটিং অপশনে চলে যান।
  • মোর ওয়্যারলেস থেকে Tethering & portable Hotspot
  • এবার USB tethering বক্সে ক্লিক করে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন।

ব্যাস হয়ে গেছে এবার দেখুন আপনার পিসি নেট কানেকশন পেয়ে গেছে। দেখেছেন কতোই না সহজ সুধু ট্রাই করতে হবে। কাজটি করতে যদি কোন সমস্যা বা মতামত থাকে তবে অবশ্যই কমেন্ট শেয়ার করবেন।

জিমেইল পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে কী করবেন?

অনলাইনের দুনিয়ায় এখন পাসওয়ার্ডের শেষ নেই। আইডির সংখ্যা যতো বাড়ছে গোপন নম্বরের সংখ্যাও সে হারে বাড়ছে। একই পাসওয়ার্ড সব জায়গায় ব্যবহার নিরাপদ নয় বলে ভিন্ন ভিন্ন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা হয়। এগুলোর মধ্য থেকে অনেক সময় জিমেইল আইডির পাসওয়ার্ড ভুল হয়ে যেতে পারে। কোথাও লেখা না থাকলে তখন বিপাকে পড়তে হয়।
তবে এতে একদম দিশেহারা হওয়ার দরকার নাই। কেননা কিছু কৌশল রয়েছে যেগুলো প্রয়োগ করে জিমেইলে প্রবেশ করা সম্ভব।

  • এরপর ‘I don’t know my password’ সিলেক্ট করে যে আইডির পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন সেটি দিতে হবে।
  • এরপর জিমেইল সর্বশেষ পাসওয়ার্ডটি চাইবে। যদি মনে থাকে সেটি চাইপ করুন। না মনে থাকলে পরবর্তী নির্দেশনায় অর্থাৎ I don't know অপসনে যেতে হবে।
  •  এ ধাপে আপনার রিকভারি মেইল আইডি দিতে বলা হবে। ই-মেইল আইডি ওপেন করার সময় দেওয়া আইডিটিই রিকভারি মেইল। তাহলে ওই মেইলে বিস্তারিত জানিয়ে দেওয়া হবে কিভাবে পাসওয়ার্ড ফিরে পেতে পারেন।
  • যদি মেইল আইডি ভুলে যান তাহলে ‘Verify your identity’ অপশনটি ক্লিক করতে হবে। এতে বর্তমানে চালু আছে এমন একটি মেইল আইডি দিতে হবে। এরপর জিমেইল আইডির প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে হবে। যেমন: জন্মতারিখ এবং কবে আইডিটি খোলা হয়েছিল ইত্যাদি।
তাহলে বিকল্প মেইলে আইডি উদ্ধারের বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে।


 

Copyright @ 2013 ফর কম্পিউটার .