যেভাবে ইউটিউব থেকে আয় করবেন

অনলাইনে আয়ের হাজার হাজার পদ্ধতির মধ্যে ইউটিউব থেকে আয় একটি জনপ্রিয় উপায়। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভিডিও শেয়ারিং সাইট ইউটিউব থেকেও আপনি আয় করতে পারবেন কইয়েকটি বিশেষ উপায়ে। ভিডিও তৈরি করে অনেকেই ইউটিউব থেকে আয় করছেন। তবে আপনি কেন পারবেন না। এই পোস্টের মাধ্যমে আমি আপনাদের দেখাতে চেষ্টা করব কিভাবে ইউটিউব থেকে আয় করা যায়।

নিচে কয়েকটা পদ্ধতি আলোচনা করা হলো- 

আপনি ভিডিও তৈরীর জন্য দুইটি পথ অবলম্বন করতে পারেন। প্রথমটা হলো- ভিডিও ক্যামেরা দিয়ে ভিডিও তৈরি করুন। আর আপনার যদি কোনও ভিডিও ক্যামেরা না থাকে তাহলে আপনি এক্ষেত্রে আপনার কম্পিউটার ব্যবহার করতে পারেন। একটা বিষয়কে মাথায় রাখবেন, তা হলো- আপনাকে অবশ্যই মজাদার/ শিক্ষনীয় ভালো মানের ভিডিও তৈরি করতে হবে। যদি আপনি আপনার চ্যানেলটিকে টিউটোরিয়ালের নির্ভর করতে চান তবে আপনি এখানে ভিডিও টিউটোরিয়ালই আপলোড করেন অন্য কিছু নয়। কিংবা যদি ভিডিও গান বা নাটক এর চ্যানেল বানাতে চান তবে তাও বেশ জনপ্রিয় হতে পারে। একটা কথা মাথায় রাখতে হবে আপনি যখন আপনার ভিডিও গুলি আপলোড দেবেন, তখন অবশ্যই আপনার কী-ওয়ার্ডগুলো দিয়ে দেবেন এবং সাথে সাথে আপনার ভিডিও এর ডেসক্রিপশনটাও দিয়ে দেবেন। এবার আপনার আপলোডকৃত ভিডিও বিভিন্ন সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে শেয়ার করুন। কারণ শুধু আপলোড করে দিলেই হবে না জনপ্রিয় হতে হলে আপনার ভিডিওগুলো বিভিন্ন সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট যেমন: ফেসবুক, টুইটার, গুগোল+ ইত্যাদি সমূহে শেয়ার করুন।
আপনার ভিডিওয়ের জন্য ব্যাকলিংক তৈরী করুন। একটা কথা ভাল করে মনে রাখবেন, YouTube ভিডিও পাবলিশিংও এক ধরনের ব্লগিং। তাই, আপনাকে ইউটউব, গুগোল এবং অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনে ভাল অবস্থানে আসার জন্য অবশ্যই কিছু ব্যাকলিংক তৈরী করতে হবে। শুধু আপনার টপিক রিলেটেড সাইটে লিংক তৈরি করুন। আপনার প্রতিযোগীদের বা আপনার মত কাজ করছেন এরকম লোকদের অনুসরণ করুন। আপনি যদি সফল হতে চান, তাহলে আপনার প্রতিযোগীদেরকে অনুসরণ করুন। দেখুন তারা কিভাবে সফল হচ্ছেন। তাদের সফলতার ইতিহাসটা পড়ুন।

কিভাবে ইউটিউব থেকে আয় করবেন : আপনি যদি উন্নতমানের জনপ্রিয় ভিডিও তৈরি করতে পারেন, বা আপনার চ্যানেল জনপ্রিয় হয় তাহলে আপনি ইউটিউবের এ্যাডসেন্স পার্টনারশিপ থেকেই একটা অফার পেতে পারেন। ওরা আপনাকে পার্টনার করলে প্রতি মাসে একটা ভাল এমাউন্টের টাকা দেবে। এই লিংকে ক্লিক করে YouTube Partnership পার্টনারশিপের জন্য আবেদন করতে পারেন। যদি তারা আপনাকে রিজেক্ট করে তাহলে ‍পুনরায় এপ্লাই করার জন্য আপনাকে আরো ২ মাস অপেক্ষা করতে হবে। আর যদি আপনার চ্যানেলকে তারা একসেপ্ট করে তাহলে তো গেল। কারণ, তারা আপনাকে প্রতি মাসে $200 দেবে।

এছাড়াও বিভিন্ন পণ্যের ভিডিও রিভিউ দিয়ে বা বিভিন্ন এ্যাডভারটাইজিং ভিডিওয়ের মাঝে দিয়ে আয় করা যায়। এছাড়া ভিডিওয়ের ডিসক্রিপশনে বিভিন্ন পণ্যের এফিলিয়েট লিংক দিয়ে দি্তে পারেন। কোনও পণ্য বিক্রয় হলেই আপনি টাকা পাবেন। তাছাড়া আপনি যদি সুন্দর একটা নামের বা ভালো কী-ওয়ার্ডের চ্যানেলের মালিক হন তবে সেটা পরে বিক্রি করে দিতে পারেন। অনেকেই আছে যারা টার্গেটেড কিওয়ার্ডের বা সুন্দর নামের চ্যানেল ক্রয় করে থাকেন। যদিও ইউটিউব অফিসিয়ালি এটা সাপোর্ট করে না কিন্তু তার পরেও হয়। তবে এটা সময় সাপেক্ষ। মোট কথা আপনি যদি কোয়ালিটি সম্পন্ন জনপ্রিয় ভিডিও তৈরী করতে পারেন, তাহলে আপনিও ইউটিউব থেকে আয় করতে পারেন বেশ কয়েক হাজার হাজার টাকা।

ফরেক্স অটো ট্রেডিং বা রোবট (EA) ট্রেডিং ও তার সুবিধা অসুবিধা

যে পদ্ধতিতে আপনার ট্রেডটি সয়ংক্রিয় ভাবে অর্থাৎ নিজে নিজে ট্রেড ওপেন হবে, ট্রেড ক্লোজ হবে, একটি নির্দিষ্ট মানিম্যানেজম্যান ফলো করবে, যেখানে আপনাকে কিছুই করতে হবে না তাই হল অটো ট্রেডিং। এই পদ্ধতিটি হল প্রোগ্রামার এর কোড ভিত্তিক একটি সাজানো পদ্ধতি যেখানে বলে দেওয়া থাকে মার্কেট মুভমেন্ট কি রকম হলে কি পদ্ধতিতে ট্রাডিং হবে, কত পিপ প্রফিট করবে , কত পিপ লস করবে এবং কত ডলার ব্যাল্যান্স থাকলে কত ভলিয়মে ট্রেড ওপেন হবে, সর্বোচ্চ কত ডলার পর্যন্ত রিস্ক নিবে ইত্যাদি ইত্যাদি ট্রেডিং করতে যা যা লাগে সবকিছু। যেহেতু এটি একটি সয়ংক্রিয় পদ্ধতি তাই আমারা অটো ট্রেডিং রোবট ট্রেডিং ও বলে থাকি।

রোবট এর সুবিধাঃ

  • নিজে নিজেই ২৪ ঘণ্টা ট্রেড করবে। (এমনকি সময় নির্ধারণ করা যায়)
  • এটি একটি নির্দিষ্ট সিস্টেমে কাজ করে থাকে ফলে কখনো রুলস ব্রেক হয় না।
  • অসংখ্য সেটিং থাকে যেগুলো নিজের মত সেটিং এর মাধ্যমে পরিচালনা করা যায়।
  • ডাটা এনালাইসিস খুব সল্প সময়ে করার ক্ষমতা থাকে।
  • বেসিক নলেজ দিয়ে যে কোন নতুন ট্রেডার এই পদ্ধতিতে ইনকাম করতে পারেন।
  • নির্দিষ্ট একটি কারেন্সি নিয়ে কাজ করে ফলে ট্রেডিং লস খুব কম হয়ে থাকে। 

রোবট এর অসুবিধাঃ

  • ২৪ ঘণ্টা চালু থাকে এমন পিসিতে সেট করতে হবে। তনুবা ট্রেডিং বন্ধ থাকবে। তাই আলাদা ভাবে VPS সার্ভিস এর মাধ্যমে করতে হয়।
  • সব ব্রোকারে সাপোর্ট পাওয়া যায় না, ফলে আপনার টার্গেট ইনকাম নাও হতে পারে।
  • একটি রোবট সাধারণত একটির বেশি কারেন্সিতে কাজ করতে পারে না। তাই একাধিক কারেন্সি তে রোবট সেট করতে হলে প্রতি কারেন্সির জন্য রোবট ক্রয় করতে হবে।
  • রোবট ট্রেডিং এর ভেতর আপনার ট্রেড করার সুজোগ নেই এতে করে রোবট ফর্মুলা ভুল করে ট্রেড লস করবে।
  • বেশীরভাগ রোবট মার্কেট হাই ভোলাটিলিটিতে ট্রেড করতে পারে না।
  • অনেক নতুন ট্রেডার নিজে না শিখে সরাসরি রোবট এর আশ্রয় নেয় ফলে প্রকৃত পক্ষে ফরেক্স শিখতে পারে না। 

কি কি প্রয়োজন হয়?


যেহেতু এটি একটি স্বয়ংক্রিয় ট্রেডিং পদ্ধতি তাই আপনাকে ট্রেডের সামনে বসে না থাকলেও চলবে তবে এই পদ্ধতিতে ট্রেড করার জন্য কিছু বিষয় লাগে ।

১। VPS- Virtual Private Server
২। EA – Expert Advisor (রোবট)

আপনার পিসি যদি ২৪ ঘন্টা অন রাখতে না পারেন তাহলে আপনাকে ২৪ ঘন্টা অন থাকে এমন পিসিতে কিছু স্পেস নিতে হবে যা VPS নামে পরিচিত অর্থাৎ কিছু কোম্পানি আছে যারা তাদের কম্পিউটার আপনার জন্য ২৪ ঘন্টা চালু রাখবে সে জন্য আপনাকে প্রতি মাসে $১০-$৫০ পরিশোধ করতে হবে। তবে কিছু কিছু ব্রোকার তাদের প্লাটফর্মের ট্রেডারদের ফ্রি এই সুবিধা দিয়ে থাকে সামান্য কিছু শর্তের মাধ্যমে। যেমন রোবোফরেক্স।

দ্বিতীয় , আপনার রোবট সফটওয়্যার থাকতে হবে, এই ক্ষেত্রে এটি আপনাকে ক্রয় করে নিতে হবে, যেহেতু এটি স্পেশাল একটি সফটওয়্যার সিস্টেম তাই এটি ফ্রী নয়। ভিন্ন ভিন্ন ফরেক্স রোবট প্রভাইডাররা তাদের রোবট এর কাজের প্রেক্ষিতে ভিন্ন ভিন্ন দাম নিয়ে থাকে। আপনি $৮০-$২৫০ এর মধ্যে রোবট ক্রয় করতে পারবেন। তবে অনেক রোবট আছে যেগুলো আরো অনেক দামি $১০০০ পর্যন্ত হতে পারে।

রোবট ক্রয়ের ক্ষেত্রে বিবেচ্য বিষয়ঃ

আপনি যে অটো ট্রেডিং সিস্টেম (রোবট) ক্রয় করতে চাইছেন তা কতটুকু স্টং, প্রফিটেবল কিংবা কতটুকু রিলায়েবল কিংবা এই অটো সিস্টেম এর কার্যকারিতা আসলে কতটুকু তা বোঝার জন্য আপনাকে কিছু বিষয় দেখে নিতে হবে যা আপনি ওই নির্দিষ্ট রোবটের বিস্তারিত অংশে পেয়ে যাবেন। নিচের পয়েন্টগুলোর আলোকে আপনি একটি ভালো রোবট ক্রয়ের করতে পারেন।

  • Back-test
  • History
  • Profit Factor
  • Draw down
  • Risk Reword Ratio
  • Month Return

কিভাবে EA ইন্সটল করতে হয়?

সাধারণত EA এর জন্য ১-২ টি ফাইল থাকে। মুল EA ফাইলটি আপনার কম্পিটারের Meta Trader এর রুট ফোল্ডার থেকে Experts ফোল্ডারের ভেতরে কপি করে দিতে হবে এবং যদি আরো ফাইল থাকে তাহলে নির্দেশনা অনুযায়ী যে ফোল্ডারে দিতে বলা হবে সেই ফোল্ডারে কপি করে দিবেন। এবং Meta Trader এর Expert Advisors অপশন Enable করে দিতে হবে। এবং ভিবিন্ন ধরনের EA প্যারামিটার সেটিং এর মাধ্যমে আপনি নিজের মত করে রোবট সেট করে দিতে পারবেন।


ফরেক্স রোবট আপনার অনুপস্থিতে ২৪ ঘন্টায় ট্রেড চালিয়ে যাবে সত্যি তবে আবারো বলা যাচ্ছে যে যেহেতু এটি একটি প্রোগ্রামেবল পদ্ধতি তাই মার্কেট কত ভালো বুঝে কত ভালো ভাবে সিস্টেমটি সাজানো হয়েছে তা যদি যাচাই না করে রোবট সেট করে প্রফিট এর আশা করে তাহলে আপনার সেই স্বপ্ন সত্যি নাও হতে পারে। তাই যেকোন রোবট ব্যাবহার এর পূর্বে উপরোক্ত বিষয়গুলোর সাথে সাথে উক্ত রোবট কে অন্তত পক্ষে ৩ মাস ডেমো আকাউন্টে সেট করে এর কার্যকারিতা নিশ্চিত হউন তারপর ফাইনালি লাইভ ট্রেডে সেট করবেন। নতুবা আপনার আশা নিরাশায় পরিণত হতে খুব বেশি সময় নিবে না। প্যারামিটারের তথা আপনার রোবট এর সব গুলো সেটিং বুঝে শুনে তারপর শুরু করেন।


ফরেক্স মূল পাতায়...



ফরেক্স ট্রেডগুলো কোথায় ঘটে?

অন্যান্য আর্থিক বাজার থেকে এই বাজার ভিন্ন। কারন এই বাজারের কোন শারীরিক অবস্থান নেই। যেখানে সমস্ত লেনদেন ব্যাংক, বৃহৎ প্রতিষ্ঠান, বিনিয়োগকারী, ব্যবসায়ী, ইত্যাদির মধ্যে টেলিযোগাযোগ (ফোন, অনলাইন প্ল্যাটফর্ম, ইত্যাদি) মাধ্যমে পরিচালিত হয় । এটিকে কাউন্টার বাজার (Over The Counter) বা OTC বলা হয়।

অনলাইন প্ল্যাটফর্ম এর চারটি প্রধান কেন্দ্র নিউইয়র্ক, লন্ডন, টোকিও ও সিডনি তে অবস্থিত। মুলত এরই চারটি জোন থেকেই মার্কেটের ট্রেডগুলো অনলাইন প্ল্যাটফর্ম এর মাধ্যমে পরিচালনা করা হয়। প্রয়োজনে নিচের চার্টটিতে ভালো ভাবে লক্ষ্য করুন।




ফরেক্স মূল পাতায়...

 

ফরেক্স মার্কেটের সুচনা



ফরেক্স মার্কেট সাধারণ অন্য যে কোন মার্কেটের মত একদিনে তৈরি হয়নি। বরং একটি ধারাবাহিক যুগ-যুগান্তরি অনেকগুলো ইভেন্ট এর ফলাফল আজকের এই ফরেক্স মার্কেট। এটির সূচনা হয় ১৯৭১ সালের Bretton Woods চুক্তির পরিক্ষিপ্ততায়। এবং পুরোপুরি স্বতন্ত্রতা লাভ করে যখন ১৯৯৭ সালে অনলাইন ট্রেডিং ক্ষমতা সহ ব্যক্তিগত বিনিয়োগকারী এবং ব্যবসায়ীদের জন্য মার্জিন ট্রেডিং সুবিধা সহ নানা রকম বহুমুখী সুবিধার ব্যাবস্থা করা হয়। বর্তমানে ফরেক্স মার্কেট হল বিশের সবচেয়ে তারল্য অর্থনৈতিক বাজার।




ফরেক্স মূল পাতায়...





 

ফরেক্স থেকে মাসিক ইনকাম!


ফরেক্স ট্রেডিং একটা বিজনেস। চাকুরী নয়। এখানে কখনো কেউ বলতে পারবে না নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা আয় করতে পারবে। সেজন্য ফরেক্স মার্কেটের আয়কে মুলধনের শতকরা হিসেবে প্রকাশ করা হয়। যেমন কেউ যদি ৫০০ ডলার ইনভেস্ট করে প্রথম মাসে ৫০ ডলার লাভ করে তবে সেটা হবে ১০% লাভ। এর পরের মাসেও যে ৫০ ডলার লাভ হবে এমন গ্যারান্টি নেই। ৫০ ডলার লসও হতে পারে, আবার ২০০ ডলার লাভও হতে পারে। এটা নির্দিষ্ট নয়। তাই কেউ যদি বলে গ্যারান্টেড ৫০ হাজার টাকা মাসে ইনকাম করুন অথবা গ্যারান্টেড ইনকাম করুন সেটা ভুয়া। কারণ লস ছাড়া কোন বিজনেস নেই। ব্যবসার সংজ্ঞাতেই আছে –

ঝুঁকি আছে যেনেও মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্য বিনিয়োগ করাকে ব্যবসা বলে।

এখন কেউ যদি এই ঝুঁকিটা লুকিয়ে আপনাকে শুধু লাভের অংশটাই তুলে ধরে তাহলে বুঝে নিবেন সে আপনার সাথে চিট করছে। ফরেক্সে ঝুঁকিটা মিনিমাইজ করা যায় ভাল মানি ম্যানেজমেন্ট এর মাধ্যমে। কিন্তু কখনোই ঝুঁকিটা পুরোপুরি দূর করা যায় না। ফরেক্স ট্রেডিং যদি যুদ্ধ হয় তবে আপনার যুদ্ধে যাওয়ার কৌশল (strategy) লাগবে। আপনি কোন কৌশল ছাড়া যুদ্ধে গেলে সহজেই হেরে যাবেন।



ফরেক্স মূল পাতায়...


ফরেক্স ট্রেড করার সুবিধা

আগের দিনে শুধুমাত্র বিশাল ধনী অথবা ব্যাংকগুলো ফরেক্স মার্কেটে ট্রেড করার সুযোগ পেত। কিন্তু বর্তমানে সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে বিভিন্ন ফরেক্স ব্রোকারের আবির্ভাব ও প্রতিযোগিতা বৃদ্ধির কারনে যে কেউই পৃথিবীর যে কোনো দেশ থেকে ফরেক্স মার্কেটে ট্রেড করতে পারে।
মাত্র ১০ ডলার দিয়ে ফরেক্স ট্রেড শুরু করা সম্ভব। তাছারা প্রায় সব ব্রোকারই আপনাকে ফ্রী ডেমো ট্রেড করার সুবিধা দেবে, অর্থাৎ ভার্চুয়াল মানি দিয়ে। তাই প্রথমে আপনি বিনা খরচে ডেমো ট্রেড করে নিজেকে প্রস্তুত করে নিতে পারেন এবং ডেমো ট্রেড করে সাফল্য ফেলে ডিপোজিট করে রিয়েল ট্রেড শুরু করতে পারেন।
ফরেক্স মার্কেট পরিধি অনেক বড় এবং এই মার্কেটকে ম্যানিপুলেট করা সম্ভভ না। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় স্টক মার্কেট হচ্ছে নিউইয়র্ক স্টক মার্কেট এবং ফরেক্স মার্কেটের আকার তার থেকেও ২৫ গুন বেশি। মনে রাখবেন, ডলার বা ইউরো এর মূল্য অথবা কোন দেশের মূদ্রার মূল্য কোনো দেশের সরকার নির্ধারণ করে দেয় না। বিভিন্ন দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ও আর্থিক ঘটনাবলীর প্রেক্ষিতে বিভিন্ন দেশের মুদ্রার মূল্য নিজে নিজেই তৈরী ও পরিবর্তিত হয়।
ফরেক্স মার্কেট এ ট্রেড করার ক্ষেত্রে বড় ধরনের লিভারেজ বা লোন সুবিধা পাওয়া যায়, আর তাই খুব অল্প মার্কেট মুভমেন্ট থেকেই আপনি ভাল প্রফিট করতে পারবেন।
স্ক্যালপিং ফরেক্স এ খুব জনপ্রিয় একটি শব্দ। এর মানে হচ্ছে খুব অল্প সময়ের জন্য খোলা ট্রেড। ফরেক্স মার্কেটের খুব অল্প পরিবর্তনেও ভাল লাভ করা সম্ভভ। অনেকেই ১০ বা ১৫ সেকেন্ডের জন্য একটি ট্রেড ওপেন করে এবং প্রফিট পেলে তা নিয়ে ট্রেড থেকে বের হয়ে যায়।
ফরেক্স মার্কেট সোম থেকে শুক্র, সপ্তাহের ৫ দিনই দিবা-রাত্রি ২৪ ঘণ্টার জন্য খোলা থাকে। আর তাই আপনি ব্যাবসায়ি হোন বা চাকুরিজীবী, ফরেক্স মার্কেটে আপনি আপনার সুবিধামত ট্রেড করতে পারবেন। ফরেক্স ট্রেডিং আপনি বাসায় বসেই করতে পারবেন, বাইরে যাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। আর তাই পরিবারকে প্রচুর পরিমানে সময় দিতে পারবেন।
সর্বোপরি একজন সফল ও দক্ষ ফরেক্স ট্রেডার এই মার্কেট থেকে প্রচুর পরিমানে আয় করতে পারবেন। উল্লেখ করা বাঞ্ছনীয়, একজন দক্ষ ও সফল ট্রেডার হতে হলে আপনাকে ফরেক্স মার্কেট সম্পর্কে প্রচুর পড়াশোনা করতে হবে, নিজেকে এই মার্কেটের যোগ্য করে তুলতে হবে। ফরেক্স মার্কেট থেকে যে কেউই কোন কিছু না জেনেও হয়ত প্রথম দিকে অনেক আয় করতে পারেন। মনে রাখবেন, ফরেক্স মার্কেট স্টক মার্কেটের মতই চ্যালেঞ্জিং। না জেনে হয়ত প্রাথমিকভাবে সফল হওয়া যাবে যেটা স্টক মার্কেটও অনেকেও অনেকে হয়। তবে দীর্ঘসময়ের জন্য টিকে থাকতে হলে, এক্সপার্ট হওয়া ছাড়া কোন বিকল্প নেই। 
আর একটি কথা, ফরেক্স মার্কেটে মন্দা বলে কিছু নেই। কারন স্টক মার্কেটে আপনি শুধু buy করতে পারেন, ফরেক্স মার্কেটে buy বা sell উভয়ই করতে পারবেন।



ফরেক্স মূল পাতায়...


ফরেক্স ট্রেডিং করার জন্য কি কি দরকার?

ফরেক্স ট্রেডিং করার জন্য দরকার

  • ইন্টারনেট কানেকশনসহ একটি পিসি অথবা উইন্ডোজ মোবাইল অথবা এন্ডোয়েড মোবাইল।
  • একটি ব্রোকার একাউন্ট।
  • অনলাইন ব্যাংক একাউন্ট।

ফরেক্স ট্রেড করতে হলে সর্বপ্রথম আপনাকে কোনো একটি ফরেক্স ব্রোকারের সাথে অ্যাকাউন্ট ওপেন করতে হবে। যেমন রোবোফরেক্স, এবং তাতে ডিপোজিট (টাকা বিনিয়োগ) করতে হবে। অ্যাকাউন্ট খুব সহজেই ২ মিনিটে অনলাইনে ওপেন করা যায়।
টাকা ডিপোজিট করার জন্য  আপনি বিভিন্ন অনলাইন মুদ্রা ব্যাংক যেমন পেপাল, অ্যালার্ট পে, মানিবুকারস ইত্যাদি দিয়ে তাৎক্ষণিক আপনার আকাউন্টে ডিপোজিট করতে পারেন। ব্যাংকগুলোর ওয়েবসাইটে গিয়ে রেজিস্ট্রাশন করে টাকা ডিপোজিট করতে হবে।

আপনার অ্যাকাউন্টে ডিপোজিট সম্পন্ন হলে আপনি ট্রেড করা শুরু করতে পারবেন। ফরেক্স ট্রেডিং অনলাইনে সফটওয়ারের মাধ্যমে করতে হয়। এই সফটওয়ার আপনি বিনামূল্যে আপনার ব্রোকারের ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন। সফটওয়ারটি ইন্সটল করে ব্রোকার প্রদত্ত ইউজার নেম ও পাসওয়ার্ড দিয়ে তাতে সাইন ইন করলেই বিভিন্ন পেয়ারের চার্ট ও মূল্য তালিকা লোড হবে এবং আপনি আপনার ট্রেড ওপেন/ক্লোজ করতে পারবেন।


ফরেক্স মূল পাতায়...


কিভাবে ফরেক্স মার্কেট থেকে আয় করা সম্ভব?

বিভিন্ন দেশের মুদ্রা সর্বদায় পরিবর্তনশীল। টেলিভিশনের খবর বা পত্রিকায় দেখে থাকবেন যে কখনও কখনও ডলার বাংলাদেশী টাকার বিপরীতে শক্তিশালী হচ্ছে, আবার কখনও বাংলাদেশী টাকা ডলার এর বিপরীতে শক্তিশালী হচ্ছে। অর্থ্যাৎ টাকা শক্তিশালী হওয়া মানে আগের থেকে কম টাকায় ডলার পাওয়া যাচ্ছে। আবার ডলার শক্তিশালী হওয়া মানে আগের থেকে কম ডলারে টাকা পাওয়া যাচ্ছে। সুতরাং, আপনার যদি আগে থেকেই ডলার কেনা থাকে, এবং ডলারের বিপরীতে টাকার দাম কমে যায়, তাহলে আপনি ডলার বিক্রয় করে টাকা কিনলে বেশী টাকা পাবেন। 

উদাহরণ স্বরুপ, এখন আপনার কাছে ৮০০০ টাকা আছে। বর্তমানে ডলার রেট ৮০ টাকা হওয়ায় আপনার ৮০০০ টাকা বিক্রয় করে আপনি ১০০ টাকা ক্রয় করলেন। পরবর্তীতে একদিন পর টাকার বিপরীদে ডলারের দাম বাড়ার পর তা বিক্রয় করে ৮,১০০ টাকা পেলেন। তার মানে ডলার প্রতি এক টাকা আপনি আয় করলেন। শেয়ার মার্কেটে শুধু শেয়ার এর দাম বাড়লেই (buy) আমরা প্রফিট করতে পারি। কিন্তু ফরেক্স মার্কেটে, কোন কারেন্সি শক্তিশালী অথবা দুর্বল হক, দুই ক্ষেত্রেই আমাদের প্রফিট করার সুযোগ আছে, যেটাই ফরেক্স মার্কেটের সবচেয়ে বড় সুবিধা।

এই মার্কেটে প্রতিদিন প্রায় চার ট্রিলিয়ন ডলারের বেশি লেনদেন হয়। পৃথিবীর সবগুলি শেয়ার মার্কেট মিলেও প্রতিদিন এত লেনদেন হয় না। শুধু মাত্র অনলাইন থেকেই আপনি এ মার্কেটে ট্রেডিং বা বেচাকেনা করতে পারেন। নিউ ইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জের একদিনের গড় লেনদেন ৩০ বিলিয়ন ডলার। যেহেতু মার্কেটটি এত বড় তাই কোন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, এমনকি কোন রাষ্ট্রও একক ভাবে একে নিয়ন্ত্রিত করতে পারে না।

ফরেক্স মূল পাতায়...


ফরেক্স কি?


FOREX হচ্ছে The Foreign Exchange Market। এটি আবার Currency Market নামেও পরিচিত। অতি সংক্ষিপ্তভাবে এ মার্কেট কে FX মার্কেট বলা হয়। মূলত ফরেক্স হচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রার ক্রয়-বিক্রয়। ফরেক্স মার্কেট এ আপনি একটি দেশের কারেন্সি বিক্রয় করে আর একটি দেশের কারেন্সি ক্রয় করতে পারবেন।


উদহারণ স্বরুপ, আমেরিকার কারেন্সি বা মুদ্রা হছে ডলার (USD), ব্রিটেন এর কারেন্সি বা মুদ্রা হচ্ছে পাউন্ড (GBP)। ফরেক্স মার্কেটে আপনি ডলার বিক্রয় করে পাউন্ড অথবা পাউন্ড বিক্রয় করে ডলার কিনতে পারেন। ডলার অথবা পাউন্ড ব্যাতিতও আর বিভিন্ন দেশের কারেন্সি আছে যা ফরেক্স মার্কেটে আপনি ক্রয়-বিক্রয় করতে পারেন।



ফরেক্স মূল পাতায়...



ফ্রিল্যান্সিং কি, কেন এবং কাদের জন্য

বর্তমানে ১৮০টি দেশের ২০ লাখ বায়ার এবং ৮০ লাখ ফ্রিল্যান্সার ওডেস্ক ও ইল্যান্স ব্যবহার করছেন। ওডেস্ক www.odesk.com ও ইল্যান্স www.elance.com হচ্ছে বিশ্বের সর্ববৃহৎ অনলাইন কাজের মার্কেট প্লেস, যেখানে মানুষ বিভিন্নভাবে তাদের সেবা প্রদানের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক কাজের বাজারে প্রবেশ করতে পারে।

ফ্রিল্যান্সিং শব্দটি এখন দেশে বহুল পরিচিত হলেও অনেকের কাছে কিছুটা কৌতূহল এবং অজানা একটি বিষয়। কাজটি কি শুধু আইটির? শুধু কি তরুণ প্রজন্মের জন্যই সুযোগ এখানে? এরকম অনেক প্রশ্ন আমরা প্রায়ই পেয়ে থাকি।

ফ্রিল্যান্সিং কি?

ফ্রিল্যান্সিং নিজে কোনো কাজ নয়, কাজ করার একটি ধরন মাত্র। বিভিন্ন এলাকায় চেম্বারে বসা ডাক্তার যেভাবে নিজের মতো করে ক্যারিয়ার পরিচালনা করেন, একজন উকিল যেভাবে চুক্তিভিত্তিক কাজ করেন, একজন সিনেমার অভিনেতা যেভাবে নিজের সময় এবং পারিশ্রমিক নির্ধারণ করে কাজ হাতে নেন, একইভাবে যেকোনো পেশায় একজন যখন নিজের মতো করে ক্যারিয়ার পরিচালনা করেন, সেটাই হলো ফ্রিল্যান্সিং। সেটা হতে পারে ফ্রিল্যান্স ফটোগ্রাফি, ফ্রিল্যান্স ওয়েব ডিজাইনিং, ফ্রিল্যান্স রাইটিং বা ফ্রিল্যান্স মার্কেটিংয়ের কাজ ইত্যাদি।

কেন ফ্রিল্যান্সিং?

খুবই সহজেই বলা যায় তাদের জন্যই যারা মুক্তভাবে নিজের পেশার চর্চা চালিয়ে যেতে চান, যারা চাকরির বন্ধকতায় না গিয়ে নিজের মতো কাজ করতে চান। তবে যে চাকরি বাদ দিয়েই করতে হবে, তা নয়। অনেক ফ্রিল্যান্সার যারা পূর্ণকালীন চাকরি করছেন এবং সন্ধ্যায় প্রতিদিন ২-৩ ঘণ্টা কাজ করে ফ্রিল্যান্স ক্যারিয়ার চালাচ্ছেন।

কাদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং

আপনি ছাত্রজীবনে আছেন, কিছু কাজের অভিজ্ঞতা এবং উপার্জন করতে চাচ্ছেন, ফ্রিল্যান্সিং হতে পারে আপনার জন্য আদর্শ কাজের পন্থা। আপনি শিক্ষিত গৃহিণী, পরিবারে সময় দেয়ার পাশাপাশি কিছু করতে চাচ্ছেন, ফ্রিল্যান্সিং হতে পারে তার উত্তর। আপনি একজন পুরোদস্তুর পেশাজীবী, চাচ্ছেন দৈনন্দিন কাজের পাশে নিজের একটি স্বাধীন কাজের পথ তৈরি করতে, ফ্রিল্যান্স কাজ করেই শুরু করে দিতে পারেন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কনসালটেন্ট হিসেবে একটি ক্যারিয়ার। এরকম কাজ করছে এমন মানুষের সংখ্যা আমাদের দেশে এখন কম নয়। শুধু ইল্যান্স-ওডেস্কেই আছে প্রায় চার লাখ নিবন্ধিত বাংলাদেশী। সবাই হয়তো কাজ করছেন না, কেউ শুরু করে দিয়েছেন বা কেউ চেষ্টা করছেন শুরু করার, কিন্তু তার পরেও ইল্যান্স-ওডেস্কে বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সাররা গড়ে প্রতিদিন আয় করেছেন প্রায় ২ কোটি টাকা এবং বিভিন্ন কাজে তাদের প্রতি ঘণ্টা গড় আয় হচ্ছে প্রায় ৫-১৫ ডলার পর্যন্ত। 

বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক কাজের বাজার এখন ৪২০ বিলিয়ন ডলারের এবং এর মধ্যে অনলাইন চাকরির বাজার প্রায় ১৬ বিলিয়ন ডলারের। এর মধ্যে ২০১৪ সালে প্রায় ৯০০ মিলিয়ন ডলারের কাজ শুধু ইল্যান্স-ওডেস্কেই করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যারা দক্ষ হয়ে এখনই প্রস্তুত হচ্ছেন, তাদের সামনে আছে অসীম সম্ভাবনার হাতছানি।


 

Copyright @ 2013 ফর কম্পিউটার .