বিজয় কীবোর্ড প্রশিক্ষণ ম্যানুয়াল

বিজয় কীবোর্ড তৈরী করা হয়েছে এমনভাবে যাতে সহজেই সকল অক্ষর লিখতে পারা যায়। বিজয় কীবোর্ড এ টাইপ করার সময় কিছু সহজ নিয়ম মনে রাখলেই আপনি দ্রুত বিজয় কী বোর্ড শিখে যাবেন।

১। বিজয় কীবোর্ডে যেখানে সম্ভব অল্পপ্রাণ ও মহাপ্রাণ জোড়া হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে। যেমন- অ-া, ি - ী, -ে,ৈ ও-ৗ, ক-খ, গ-ঘ, চ-ছ, জ-ঝ, ট-ঠ, ড-ঢ, ত-থ, দ-ধ, প-ফ, ব-ভ, ড়-ঢ়। এসব বর্ণের বিন্যাস হলো এমন যে, অল্পপ্রাণ অক্ষরগুলো স্বাভাবিক অবস্থায় ও মহাপ্রাণ অক্ষরগুলো শিফট অবস্থায় থাকবে। অবশ্য কোন কোন ক্ষেত্রে (যেমন ণ-ন, ষ,স) ব্যতিক্রমও আছে। এছাড়া ৃ-র্ , অ-া, ্র-্য, র-ল, ম-শ, ইত্যাদি জোড়াগুলোও একই বোতাম হিসাবে স্বাভাবিক ও শিফট অবস্থায় রয়েছে।

২। ইংরেজি জি বোতামটিকে রুপান্তর বোতাম হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে। এই বোতামটির সাহায্যে স্বরচিহ্নকে স্বরবর্ণে এবং ব্যঞ্জনবর্ণকে যুক্তাক্ষরে রুপান্তর করা যায়। মনে রাখবেন যুক্ত বর্ণ টাইপ করা তখনেই সহজ হবে যখন আপনি যুক্ত বর্ণের যুক্ত শব্দদুটি চিহ্নিত করতে পারবেন।

৩। কম্পিউটারে কীবোর্ড ব্যবহার করার জন্য সাধারণত দুটি হাতের দশটি আঙ্গুলই ব্যবহার করা হয়। প্রথমে ইংরেজি টাইপ করার নিয়ম অনুযায়ী দুই হাতের আঙ্গুলগুলি যথাস্থানে রাখতে হবে এবং ইংরেজি নিয়ম অনুযায়ী টাইপ করতে হবে। মনে রাখা ভালো, বাম হাতের আঙ্গুলগুলিতে প্রধানত স্বরচিহ্নগুলো (দুটি স্বরবর্ণসহ) থাকবে। তবে বাম হাতের উপরের সারি কিন্তু ব্যঞ্জন বর্ণ। আর ডান হাতের আঙ্গুল গুলোতে থাকবে ব্যঞ্জনবর্ণগুলো।


 

Copyright @ 2013 ফর কম্পিউটার .